এক
ছিলো শেয়াল। নাম ছিলো শেয়ালুদ্দীন। জঙ্গলের বুদ্ধিমান প্রানীদের মধ্যে অন্যতম। সবজায়গায়
বুদ্ধির ছাপ। শুধু বুদ্ধিমান নয়, খুব ধূর্তও বটে। জঙ্গলের সবাইকে জ্বালিয়ে মারতো। শুধু
একটাই ব্যাপার ছিলো। সেটা হলো, কথা বলতে সমস্যা হতো তার। সাধারণভাবে দেখলে সমস্যাটি
মারাত্মক কিছু না। আবার অন্যদিক দিয়ে দেখলে, খুবই মারাত্মক। সে কখনো ও-কার উচ্চারণ
করতে পারত না। “পড়বো, লড়বো, জিতবো রে“ এইটা বলার সময় আমরা কমপক্ষে তিনবার মুখ গোল করে
ও-কার উচ্চারণ করব, কিন্তু শেয়ালুদ্দীন সেটা পারে না। কেউ যদি তাকে জিজ্ঞাসা করে যে
কেমন আছ, সে উত্তর দেবে, 'ভাল'। ভালো বলতে পারবে না। তাকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয় যে অন্ধকার
দেখতে কেমন, সে উত্তর দেবে 'কাল'। কালো বলতে পারবে না। তাই সবাই একটু কষ্ট করেই শেয়ালুদ্দীনের
কথাবার্তা বুঝতে চেষ্টা করতো।
দেখে
মনে হচ্ছে সমস্যাটা খুবই ছোট, তাহলে লেখক এটাকে মারাত্মক কেন বলল? উত্তরটা পাওয়া যাবে
এইখানে, এই গল্পের মাঝে।
“একবার
শেয়ালুদ্দীন একটা স্কুল খুলেছিলো। আর সেখানে সিংহ মহারাজ তার নিজের ছেলেকে ভর্তি করিয়ে
দিয়েছিলেন। সেই ছেলে আবার তুই করে বলা শুনতে পছন্দ করত না। তাকে যদি কেউ তুই করে বলত,
তাহলে আর কথা ছিলো না। সিংহের ছেলে লাফিয়ে পড়ে তার ঘাড়ে কামড় বসিয়ে দিত। আর সেই কামড়ের
ক্ষত সারতে প্রায় দেড় মাসের মতো সময় লাগত।
এবার
শেয়ালুদ্দীন তো পড়ে গেলো বিপদে। সিংহের ছেলেকে পড়া ধরার সময় বলতে হবে, এইবার আমাকে
মুখস্থ বলো। অথবা, লিখে দেখাও। বা, পড়ে শোনাও। কিন্তু সে তো আর ও-কার বলতে পারবে না।
ফলাফলে সে বলে ফেলবে, এইবার আমাকে মুখস্থ বল। অথবা, লিখে দেখা। বা, পড়ে শোনা। তাহলে
তাকে তুই করে বলা হয়ে গেলো। আর তার ফলে কী হবে তা শেয়ালুদ্দীন ভালো করেই জানে। তাই
বিনা নোটিসে সে তার বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছিলো।”
এইবার
আসল কাহিনীতে আসি।
একটা
ভেড়া একদিন তার মালিকের খামার থেকে পালিয়ে গেল। উদ্দেশ্যহীনভাবে সে এদিক সেদিক ঘুরছিলো।
চৈত্র মাস। খুবই গরম। আমরা তো জানিই যে, গরম পড়লে ভেড়ার কী অবস্থা হয়? ভেড়ার আর সহ্য
হচ্ছে না। কী করবে সে? আশেপাশে কোনো গাছ দেখতে পাচ্ছে না, যেখানে দাঁড়িয়ে সে একটু বিশ্রাম
নিতে পারে।
সামনে
নজরে পড়লো একটা গুহা। গুহা দেখেই তো ভেড়ার সেই আনন্দ! যাক, এবার একটু আরাম পাওয়া যাবে।
দেরী না করে তাড়াতাড়ি সে গুহার ভেতর ঢুকে পড়লো। অনেক্ষণ রোদে ঘোরার পর গুহার ছায়ায়
ঢুকে ভেড়ার খুব আরামবোধ হচ্ছিলো।
ভাগ্যক্রমে
সেই গুহাটা ছিলো শেয়ালুদ্দীনের অন্তরঙ্গ বন্ধু বাঘাউদ্দীন শাহের।
গুহা
ছেড়ে বাঘাউদ্দীন শাহ গিয়েছিলো শিকার করতে। এদিকে শেয়ালুদ্দীন ভাবল, ‘যাই, অনেক দিন
ধরে বন্ধুর সাথে দেখা নাই। একবার গিয়ে সাক্ষাৎ করে আসি। কতদিন হয়ে গেলো, বন্ধুর মুখ
দেখি না। এইবার একবার ঘুরে এলে ভালোই হয়।’ শেয়ালুদ্দীন বেড়িয়ে পড়লো বাঘাউদ্দীন শাহের
সাথে দেখা করতে।
শেয়ালুদ্দীন
বেড়িয়ে পড়লো বাঘাউদ্দীন শাহের সাথে দেখা করতে। পথে যেতে যেতে দুই-চারজনের সাথে ঝগড়াও
হয়ে গেলো তার।
চৈত্র
মাসে খুব গরম। এই গরমের ভেতর দিয়ে যেতে যেতে শেয়ালুদ্দীন হাঁপিয়ে উঠছিলো। তবুও বন্ধুর
দেখা পাওয়া যাবে ভেবে এই কষ্টকে সে আমলে নিচ্ছিলো না। অনেক্ষন পর সে গিয়ে পৌঁছল বাঘার
গুহার সামনে। চেঁচিয়ে উঠলো, ‘বন্ধু, বাড়ি আছস?’
ভেড়া
সবে একটু ঘুম ঘুম অবস্থা, এই সময় এরকম বাজখাই গলার আওয়াজে ভেড়ার কানের পর্দার ফর্দাফাই
হয়ে গেলো। কাঁচা ঘুম ভেঙ্গে যাওয়াতে ভেড়া বেশ রেগেও গেলো। উত্তর দিলো, ‘বাড়িতে কেউ
নাই।’
‘আমার
সাথে মশকরা হচ্ছে। বাড়িতে কেউ নাই, তাহলে আ-য়াজ দিচ্ছিস কেডা?’
‘আগে
বল তুই কে?’
‘আমি।’
‘আমি
কে?’
‘আরে
আমি কীভাবে জানব তুই কেডা?’
‘হতচ্ছাড়া,
তুই কে?’
‘আরে
আমি তর বন্ধু, শেয়ালুদ্দীন।’
শেয়ালের
নাম শুনে ভেড়ার প্রাণ শুকিয়ে গেছে। কিন্তু সাহস হারালে চলবে না। উত্তর দেওয়ার জন্য
নিজের গলাকে যতটা পারে গভীর করতে লাগলো।
শেয়ালুদ্দীন
আবার জিজ্ঞাসা করলো, ‘এইবার ক, তুই কেডা?’
‘আমি ভ্যাড়ভেড়ি দাশ,
কোনো শেয়ালুদ্দীনকেই আমি, দিই নাকো পাশ।’
সেটা
শু—নে, শেয়ালুদ্দীনের পশম গেলো ভিজে। (বিঃ দ্রঃ
বড় বড় গুন্ডা-মাস্তানের হুমকি শুনলে তো সাধারণ লোকেদের প্যান্ট ভিজে যায়। কিন্তু শেয়ালুদ্দীন
তো আর প্যান্ট পরে না। তাই ভাবার্থ রক্ষার্থে বললাম, পশম ভিজে গেলো।) শেয়ালুদ্দীন
আর ওখানে নাই। মা-রে, বাপ-রে বলে ছুটে দৌড়। ‘ওরে বাবা, ভ্যাড়ভেড়ি দাশ! ধরতে পারলেই
ভ্যারভ্যার করে আমার গলা চিড়বে। আমি আর নাই। ও মা রে, বাঁচা রে।’
শেয়ালুদ্দীন
দৌড়াচ্ছে। আশেপাশে নজর নাই। মনে খালি একটাই চিন্তা, যদি ভ্যাড়ভেড়ি দাশ আমাকে ধরতে পারে,
তাহলে আর রক্ষা থাকবে না। তাই ছুটছে সে দুর্দান্ত গতিতে। সামনে কী যেন একটার সাথে ধাক্কা
খেয়ে পড়ে গেলো। কোঁকাতে লাগল। ভাগ্যক্রমে, যে জিনিসটার সাথে ধাক্কা লেগে পড়ে গেলো সেটা
স্বয়ং বাঘাউদ্দীন শাহ।
শিকার
থেকে ফিরছিলো। শেয়ালুদ্দীনকে ছুটে আসতে দেখেই সটান দাঁড়িয়ে গেলো শেয়ালুদ্দীনকে জড়িয়ে
ধরার জন্য। আর ফলাফল, শেয়ালুদ্দীন মাটিতে লুটোপুটি খাচ্ছে।
বাঘা
জিজ্ঞাসা করলো, ‘দোস্ত, এইভাবে হন্তদন্ত হইয়া যাও কই?’
‘আরে
দস্ত, তুই এখানে? ওরে বাবা রে! দস্ত, আর একটু হলেই আমি গেছিনু!!’
‘কই
যাইতে লাগছিলা?’
‘আরে
কই আবার? উপুরে।’
‘উপুরে
ক্যান?’
‘আগে
ক তর গুহার মধ্যে কাকে রাইখ্যা আসছিস?’
‘কারে
আর রাইখ্যা আসমু কও? কেউ নাই। এইতো, আমি এইহানে, তাইলে গুহা ফাঁকা পইড়্যা আছে।’
‘তর
গুহার ভেতর ভ্যাড়ভেড়ি দাশ।’
‘আমার
গুহায় ভ্যাড়ভেড়ি দাশ! হা হা। আরে, আমার গুহায় ঢোকার সাহস এই জঙ্গলের কারুর নাই, কই
থেকে এই ভ্যাড়ভেড়ি দাশ আইবে? তুমি দিনের বেলা স্বপন দেখলা নাকি?’
‘বিশ্বাস
না হলে চল।’
‘হ্যাঁ,
চ চ। দেইখ্যা আসি। কুন্টিক্যার কুন ভড়ভড়?’
বাঘাউদ্দীন
শাহ আর শেয়ালুদ্দীন যাত্রা শুরু করলো। পথের মধ্যে অন্তত ২০ বার শেয়ালুদ্দীন বাঘাকে
বলেছে, ‘চল দস্ত ফিরে যাই। ভ্যাড়ভেড়ি দাশকে অত সহজ মনে করিস না। অ হইলো ভ্যাড়ভ্যাড়ি
দাশ, কন (কোনো) শেয়ালুদ্দীনকেই অ দেয় না পাশ।’
বাঘাউদ্দীন
শাহ শেয়ালুদ্দীনের ওপর বেশ বিরক্ত হচ্ছে। এমনিতেই যতই বাহাদুরি দেখাক না কেন, ভ্যাড়ভেড়ি
দাশের নাম শুনেই বাঘ প্রথমে একটু ভিড়মি খেয়েছিলো। আর এখন শেয়ালুদ্দীন যে হারে ভ্যাড়ভেড়ি
দাশের প্রশংসা করে যাচ্ছে, তাতে বাঘাউদ্দীনেরও একটু ভয় ভয় করতে লাগলো। কিন্তু শেয়ালুদ্দীনকে
তো সে সেটা বুঝতে দেবে না। শেষে বাঘাউদ্দীন শাহ করলো কী? নিজের লেজ আর শেয়ালুদ্দীনের
লেজ একসাথে শক্ত করে বেঁধে নিলো। এইবার সে যেখানেই যাক, শেয়ালুদ্দীনকে সাথে নিয়ে যাবে।
বলা বাহুল্য, নিজের লেজ বাঘাউদ্দীন শাহ এর লেজের সাথে বাঁধার ফলে শেয়ালুদ্দীনের সাহস
বহুগুণে বেড়ে গেলো।
কিছুক্ষণের
মধ্যেই ওরা গুহার সামনে হাজির হলো। ভেড়া তখনো ভেতরেই ছিলো। শেয়ালুদ্দীনকে তাড়িয়ে তারও
একটু সাহস হয়েছে। কিন্তু এইবার আসল বাঘ। বাঘেরও একটু ভয় ভয় অবস্থা। গুহার সামনে এসেই
হুংকার ছাড়লো। কিন্তু বুঝতে পারলো, ভয়ে ভয়ে তার হুংকারের তেজও কমে গেছে। তারপরেও বলল,
‘আমার গুহায় কে রে?’
বাঘের
আওয়াজ শুনে ভেড়া তো মরা মরা অবস্থা। কিন্তু তারপরেও সে সাহস সঞ্চয় করলো। হারলে জীবন
শেষ। বাঘের হাতে ধরা পড়লে আর কারো হাতে ধরা পড়তে হবে না। বাঘ তাকে পেয়াজ মশলা ছাড়াই
ভেজে খাবে। অবশ্য খাওয়ার আগে ভাজবে কিনা, সেটাও সন্দেহের বিষয়।
তাই
নিজের গলাকে আরো ভারি করে, আরো গম্ভীর করে, ভেড়া চেঁচিয়ে উঠলো,
‘আমি ভ্যাড়ভেড়ি দাশ
এক লাফে ভক্ষণ করি সাড়ে সাতশ বাঘ’
এই
কথা শুনে, বাঘার তো অবস্থা খারাপ। খেয়াল করলো, তারও পশম ভিজে যাচ্ছে।
এই
প্রথম কোনো জন্তুর হুংকার শুনে বাঘা প্রস্রাব করে ফেলল। শেয়ালুদ্দীনের আত্মা ধকধক করছে।
কোনোরকমে একবার শুধু বলল, দস্ত, এখান থেকে ভাগ। বাঘার আর ওখানে নাই। ছুট-----টে দৌড়।
শেয়ালুদ্দীন
পড়ে গেছে বিপদে। ওর লেজ তো বাঘাউদ্দীন শাহের লেজের সাথে বাঁধা। দৌড়াতে পারছে না সে৷
গড়িয়ে গড়িয়ে যাচ্ছে।
শেয়ালুদ্দীনকে
যে লেজে বেঁধে ছেচড়াতে ছেচড়াতে নিয়ে যাচ্ছে, সেদিকে খেয়াল নাই বাঘাউদ্দীন শাহের। ওর
খালি চিন্তা, যদি ভ্যাড়ভেড়ি দাশ ধরতে পারে, কাচ্চা চিবিয়ে ফেলবে।
সামনে
পড়লো ফসলের জমি। এখন খালি জমি। ফসল নাই। জমির ভেতর দিয়ে দৌড়াচ্ছে বাঘাউদ্দীন শাহ। চৈত্র
মাস। খড়খড়ে গরম। ঢিলের জমি। এখানে ঢিল। ওখানে ঢিল। সামনে ঢিল। পেছনে ঢিল। চারদিকে শুধু
ঢিল আর ঢিল। ওর ভেতর দিয়েই দৌড়াচ্ছে বাঘাউদ্দীন শাহ।
ওদিকে
শেয়ালুদ্দীন গড়াতে গড়াতে পড়ে গেছে মহাবিপদে। এতক্ষন তো ঘাসের ভেতর দিয়ে ছেচড়াতে ছেচড়াতে
আসছিলো। ওই ঘাসের আচড় কোনমতে সহ্য করে নিচ্ছিলো। কিন্তু এই লোহার মতো শক্ত শক্ত ঢিলের
আঘাত কি আর সহ্য করা যায়? বাঘাউদ্দীন শাহের এতক্ষনে খেয়াল হয়েছে যে শেয়ালুদ্দীনকে সে
গড়িয়ে গড়িয়ে টেনে আনছে। বন্ধু এখন কী অবস্থায় আছে তা দেখার সময় নাই। শুধু দৌড়াও। কিন্তু
শেয়ালুদ্দীনের আর এই ঢিলের গুতো সহ্য হচ্ছে না । গুতো খেয়ে খেয়ে অবস্থা কাহিল তার।
পেট-পিঠ সবকিছুর ছাল ছড়ে যাচ্ছে কেবল। উহ, আহ করছে শেয়ালুদ্দীন। কিন্তু উহ আহ করে কি
আর কাজ হবে? ব্যাথার চাপে কথাই বলতে পারছে না শেয়ালুদ্দীন। দোস্তকে যে সে তার করূন
অবস্থার কথা জানাবে, সে সুযোগ নেই।
আমরা
জানি, দুই জমির মধ্যে দিয়ে উঁচু করে হাটাচলার জন্যে যে রাস্তা রাখা হয় তাকে 'জমির আইল'
বলে। মানুষ জমির ভেতর দিয়ে না হেঁটে আইল দিয়ে হাঁটে। শেয়ালুদ্দীন দেখতে পাচ্ছে যে জমির
আইল গুলোতে প্রচুর ঘাস জন্মেছে। তাই আইলের ওপর দিয়ে গেলে তার কষ্ট কম হবে। তাই সে বাঘাউদ্দীন
শাহ কে বলতে চাইলো, দোস্ত, আইল দিয়ে চল। আইল দিয়ে চল। কিন্তু অতটা বলতে পারলো না। শুধু
এটুকু বলল, ‘দস্ত আইল, আইল। দস্ত আইল, আইল।’
ওদিকে
বাঘাউদ্দীন শাহের বুদ্ধি খুলে গেছে। তার মনে পড়লো, তার দোস্ত তো ও-কার বলতে পারে না।
যেহেতু সে বলছে আইল আইল, তার মানে মনে হয় সে বলতে চাইছে যে, দোস্ত আইলো আইলো। কে আইলো?
ভ্যাড়ভেড়ি দাশ আইলো। ওরে চাচা। বাঘাউদ্দীন শাহ আরো জোরে দৌড়।
শেয়ালুদ্দীনের
যন্ত্রণা বেড়ে গেল। সে আরো জোড়ে চিল্লাইতে লাগল, ‘দস্ত আইল আইল। দস্ত আইল আইল।’ আর
সেটা শুনে বাঘাউদ্দীন শাহ আরো জোরে দৌড়াতে লাগল।
‘দস্ত
আইল আইল।’
‘আইলো
রে ভাই, ভ্যাড়ভেড়ি দাশ আইলো। আমাকে কেউ বাঁচা।’ (আরো জোরে দৌড়)
‘দস্ত
আইল আইল’।
‘
আরে ভাই, জানি ভ্যাড়ভেড়ি দাশ আইতেছে। চিল্লানো থামা।’ (আরো জোরে দৌড়)
‘দস্ত
আইল আইল।’
‘ও
মা রো, ও আব্বা রো, একবার বেঁচে যাই। আর জীবনে ভ্যাড়ভেড়ি দাশের সাথে লাগতে যাবো না।
আমার ভেজা পশমের কছম।’ (আরো জোরে দৌড়)
‘দস্ত
আইল আইল।’
‘থাম
রে আমার বাপ। বাচ্চাটার জান নিবি নাকি?’ (আরো জোরে দৌড়)
শেয়ালুদ্দীন
যতই চিল্লায়, বাঘাউদ্দীন শাহ আরো জোরে দৌড়ায়। শেষে গিয়ে বাঘাউদ্দীন শাহ ধাক্কা খেলো
একটা গাছের সাথে। সেই সাথে শেয়ালুদ্দীনের যন্ত্রণার অবসান হলো।

